স্বপ্নযাত্রার আগে ফটোসেশনে বাংলাদেশের যুবারা
কিছুদিন আগেই এশিয়ার ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তিন বছর আগে অগ্রজ আকবর আলী-শরিফুল ইসলামদের বিশ্বজয়ের গল্পটাও তাদের জানা। এবার তেমনই লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বাধীন দলটি। কাল মধ্যরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ যুবারা।
এর আগে আজ দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হলো যুবাদের ফটোসেশন। ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে হয় ফটোসেশন হয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্দা উঠবে যুবাদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের। পরের দিন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে বাংলাদেশের। 'এ' গ্রুপে বাংলাদেশ, ভারত ছাড়া আছে যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড।
বিশ্ব আসরে মূল লড়াইয়ের আগে এক সপ্তাহ ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ, উদ্দেশ্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। তাই একটু আগে ভাগেই যাচ্ছে বাংলাদেশ যুবারা। আগামী ১১ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি আনঅফিশিয়াল ম্যাচ খেলবে তারা। ১৪ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা ও ১৭ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার যুবাদের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের শিরোপা জেতায় আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করবে এই দলটি, এমনই আশা যুব দলের নির্বাচক হান্নান সরকারের। প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে শিরোপা-স্বপ্নের কথাই বললেন তিনি, 'সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন অবশ্যই থাকবে। তারপর নক আউট স্টেজে একটা ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল, দুটি ম্যাচ জিতলে চ্যাম্পিয়ন। লক্ষ্য তো সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়া।'
প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল অবশ্য একটি করে ম্যাচ লক্ষ্যে রাখছেন। তার ভাষায়, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রথম ম্যাচ, সেটা ২০ তারিখে ভারতের বিপক্ষে। এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচের পর ওখানেই তা শেষ। এরপর আবার পরের ম্যাচটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবার একটি করে ম্যাচ, সেই একই পুরনো কথা। তবে প্রক্রিয়া অনুসরণে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।'
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দল: আশিকুর রহমান শিবলী, জিশান আলম, চৌধুরী রিজওয়ান, আদিল বিন সিদ্দিক, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, আরিফুল ইসলাম, শিহাব জেমস, আহরার আমিন, শেখ পারভেজ জীবন, মাহফুজুর রহমান রাব্বি (অধিনায়ক), রাফিউজ্জামান, রোহানত দৌলা বর্ষণ, ইকবাল হাসান ইমন, ওয়াসী সিদ্দিকী ও মারুফ মৃধা।
স্ট্যান্ড বাই: নাঈম আহমেদ, মোহাম্মদ রিজান হোসেন, আশরাফুল হাসান, তানভির আহমেদ ও আকান্ত শেখ।