ধর্ষণ মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড লামিচানের
ধর্ষণে অভিযুক্ত, চলছিল মামলা। মাঝে জামিনে মুক্তি পেয়ে নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দলেও ফিরেছিলেন সন্দীপ লামিচানে। তবে তখনই তারকা এই লেগ স্পিনারের ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি, যা হলো আজ। ধর্ষণ করেছেন, এমন অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় লামিচানকে আট বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। বুধবার নেপালের একটি আদালত এই রান দেন।
কাঠমান্ডু জেলা আদালতের কর্মকর্তা রামু শর্মা এএফপিকে বলেছেন, 'আদালত তাকে আট বছরের সাজা দিয়েছে।' জামিনে থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদলতে ছিলেন না নেপালের সাবেক এই অধিনায়ক। তার আইনজীবী সরোজ ঘিমিরে এএফপিকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করে এসেছেন লামিচানে। অভিযোগ থাকার পরও জোরালো জনসমর্থন পেয়েছেন নেপাল ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়। প্রক্রিয়াগত কারণে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্তে দেরি হয়েছে, যে কারণে এটা শেষ হতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে গেল।
১৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২২ সালের ২১ আগস্ট লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করেন কাঠমান্ডু জেলা আদালত। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর গৌশালা মহানগর পুলিশের কাছে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। ৭ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালত নেপালি লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৬ অক্টোবর দেশে ফিরলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর কাঠমান্ডু জেলা আদালত ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর লামিচানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে লামিচানে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। শেষ পর্যন্ত দোষীই সাব্যস্ত হন তিনি। এই অভিযোগে তাকে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল। পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হলে তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
নেপাল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা লামিচানে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বেড়িয়েছেন তিনি। আইপিএল থেকে শুরু করে বিবিএল, পিএসএল, বিপিএল, সিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে দারুণ প্রতিভাববান এই লেগ স্পিনারের। বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট এবং তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট নেন লামিচানে।