হামলার পরও থামবে না হুথিরা
হামলাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সমন্বিত হয়েছে। পেন্টাগন বলেছে, তারা হুথিদের সামরিক সক্ষমতা ব্যাহত এবং অবনমিত করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল সেই সকল স্থান যেখান থেকে ইয়েমেনের কাছে লোহিত সাগরে চলাচলকারী আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোতে হুথিরা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
এই অঞ্চলে অবস্থিত একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ভোরবেলা টমাহকের সাহায্যে ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং হুদায়দাহ বন্দর সহ ১২টি স্থানে আঘাত হানা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই হামলা চালাতে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস সাহায্য করেছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যও এই হামলায় অংশ নেয়।
সাইপ্রাসের আরএএফ আক্রোটিরি থেকে হামলা চালানোর জন্য চারটি টাইফুন জেট উড্ডয়ন করা হয় এবং কয়েক হাজার মাইলের রাউন্ড ট্রিপের জন্য জেটগুলোতে পুনরায় জ্বালানি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। দুইটি স্থানে আঘাত করার জন্য 'পেভওয়ে' বোমা ব্যবহার করা হয়েছিলো। হামলা করা স্থানগুলোর মধ্যে একটি স্থান হুথিরা ড্রোন নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করতো। অন্য স্থানটি একটি এয়ারফিল্ড যেখান থেকে হুথিরা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতো।
হামলার পরপরই এক বিবৃতিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, "ব্রিটেন সবসময় নৌ চলাচল এবং বাণিজ্যের অবাধ স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াবে।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলাকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের উপর নজিরহীন হুথি হামলার সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
হুমকি দিয়ে চালানো এই বিমান হামলার পরও হুথিরা থামবেনা। একজন হুথি মুখপাত্র পোস্ট করেছেন, "যুদ্ধ আরও বড় হবে এবং সেটি আমেরিকান ও ব্রিটিশদের কল্পনা ও প্রত্যাশার বাহিরে।"
ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি সৌদি আরবের বিমান হামলার পরও টিকে আছে এবং তারা এখন পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখায়নি।