ভারতে আক্রান্ত ৫ লাখ ছাড়িয়েছে, আশ্রম ও হোটেল রূপান্তরিত নিরাময় কেন্দ্রে
১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে মহামারি পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দিনকে দিন। আজ শনিবার নাগাদ মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। শুধু বিগত ছয় দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ বাড়ে।
গত ২৪ ঘণ্টা বা শুক্রবার নাগাদ ভারতে নতুন করে ১৮ হাজার ৫৫২ জন রোগী শনাক্ত হয়। এর ফলে সার্বিক আক্রান্তের পরিমাণ ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৫৩ জনে গিয়ে ঠেকে। আজ শনিবার (২৭ জুন) সকালে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর ব্লুমবার্গ কুইন্টের।
তবে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ আক্রান্তের কথা জানানো হয়ে, তাদের অধিকাংশই বা দুই লাখ ৯৫ হাজার রোগী কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন। আর মারা গেছেন ১৬ হাজার ৬৮৫ জন।
দেশটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ১৬ হাজার নতুন সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের গড় দৈনিক সংক্রমণ সেই তুলনায় যথাক্রমে; ৩৪ হাজার ৯৯৬ এবং ৩৪ হাজার ৫৮০টি।
জনসংখ্যার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা আহামরি বেশি না হলেও, যে গতি নিয়ে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ১৩০ কোটি মানুষের দেশে, সেটা নিয়েই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। ইউরোপের কিছু উন্নত দেশ যখন ভাইরাসের নতুন করে বিস্তার কমিয়ে আনতে সফলও, ঠিক তখনই ভারতে অপ্রতিরোধ্য যেন করোনাভাইরাস।
এর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন এবং ইতালির মতো যেসব দেশে ব্যাপক আকারে সংক্রমণ ছড়ায়, প্রতিদিন তাদের চাইতে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে এখন ভারতে।
চলমান মহামারিতে সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াই লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৩১ দিন। বিগত ১৯ দিনে সেই সংখ্যাই দ্বিগুণ হয়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
আশ্রম ও বিলাসবহুল হোটেল এখন করোনা নিরাময় কেন্দ্র :
নয়াদিল্লির বিলাসবহুল হোটেল সুর্য, ভিন্নরূপে এখন। আগামী সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধির আশঙ্কায় বিলাসবহুল অনেক হোটেলকেই যুক্ত করা হচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালের শাখা হিসেবে। দিল্লির রাজ্য সরকারের নির্দেশেই এই ব্যবস্থা।
শুধু বিলাসবহুল হোটেল নয়, আয়তনের বিবেচনায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, আধ্যাত্মিক কেন্দ্র তথা আশ্রমগুলোকেও আনা হয়েছে এই নির্দেশের আওতায়। ইতোমধ্যেই এমন একটি বৃহৎ ধর্মশালাকে ১০ হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার এবং হাসপাতালে রূপান্তরিত করার কাজ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।