দেশে দ্বিতীয়বার ব্রেন-ডেড মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বাঁচল দুইজনের প্রাণ
দেশে দ্বিতীয়বারের মতো বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে 'ব্রেন-ডেড' মানুষের কিডনি দুইজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দুইজনই সুস্থ আছেন।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি এবং কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আরেকটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
রাত নয়টার শুরু হয়ে রার ১০টা ১০ মিনিটে কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
ব্রেন-ডেড ঘোষণা করা ৩৮ বছর বয়সি একজন পুরুষের কিডনি দুজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে এ কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ পদ্ধতিতে ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেন-ডেড রোগীর কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের প্রধান ছিলেন সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। কিডনি প্রতিস্থাপনের শুরুতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কেবিন ব্লকের ওটিতে আসেন। তিনি কিডনিদাতা মো. মাসুমের পরিবারের সদস্য ও গ্রহীতার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য জানান, ৩৮ বছর বয়সি একজন পুরুষকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন-ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শারফুদ্দিন আহমেন বলেন, 'পাঁচ দিন আগে আমাদের হাসপাতালে আসেন তিনি। তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন। এর আগেও তিনি আমাদের আইসিইউতে ছিলেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এবারও পাঁচ দিন ছিলেন। আজকে আমরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছি।'
এর আগে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজন ব্রেন-ডেড মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অপর দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছর বয়সি তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি 'ব্রেন-ডেড' ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সারাহর চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় অপর দুজনকে। সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে।