বিভ্রাটের পর কি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত আমাদের?
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে প্রায় দেড় ঘণ্টার জন্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা নিজেদের আইডিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়েন। এক্ষেত্রে বেশিরভাগই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে 'লগ আউট' অবস্থায় নিজেদের আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে বারবার 'লগ ইন' করার চেষ্টা করলেও তাতে কোনও কাজই হচ্ছিল না। অনেকে আবার ভাবছিলেন যে, তার আইডি হয়ত হ্যাক কিংবা ডিজএবল হয়ে গিয়েছে।
তবে এই বিভ্রাটটি কোন হ্যাক বা ব্রিচের কারণে হয়নি বলে জানিয়েছেন মেটার একজন মুখপাত্র। তাই ব্যবহারকারীদের এখনই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
কেননা সমস্যাটি ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ডের সাথেও সম্পর্কিত নয়। বরং কারিগরি ত্রুটির কারণেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের সমস্যাটি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রযুক্তিগত এই বিভ্রাটের সময়ে কারো কারো পাসওয়ার্ড কোনোভাবেই ফাঁস হয়নি। তবে মেটা তাদের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টগুলোকে সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে 'টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন' চালু রাখার পরামর্শ দেন।
আপনার অ্যাকাউন্টগুলোতে কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে এই অথেনটিকেশন বা পরিচয় প্রমাণ করার বিষয়টি নিরাপত্তার আরেকটি বাড়তি স্তর যুক্ত করে। আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের সেটিংসে প্রবেশ করেই চালু করতে পারবেন এই 'টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন'।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিগ টেক কোম্পানিগুলোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিক এর আগেই মেটায় ঘটলো এই বিভ্রাটটি।
নতুন আইন মেনে চলতেই 'মেটা' তাদের ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টগুলোকে আলাদা করার অনুমতি দিতে যাচ্ছে। যাতে করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে অনলাইন বিজ্ঞাপনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে না পারে। যদিও বিভ্রাটের এই ঘটনাটি মেটার ডিএমএর প্রস্তুতি হিসেবে ছিল কি-না সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
২০২১ সালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ বেশ কিছু ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল। সেসময় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ডাটা সেন্টারের নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক সমন্বয়কারী রাউটারে ত্রুটিপূর্ণ পরিবর্তনের ফলেই ঘটেছে বিভ্রাটটি। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে আবারো স্বল্প সময়ের জন্য আরেকটি বিভ্রাটের সম্মুখীন হয় হোয়াটসঅ্যাপ।
অনুবাদ: জেনিফার এহসান