মারা গেছেন জনপ্রিয় জাপানি মাঙ্গা ড্রাগন বলের স্রষ্টা আকিরা তোরিয়ামা
সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী এবং সর্বাধিক বিক্রি হওয়া জাপানি মাঙ্গা ড্রাগন বলের স্রষ্টা আকিরা তোরিয়ামা ৬৮ বছর বয়সে মারা গেছেন।
শুক্রবার তার স্টুডিও বার্ড স্টুডিও এন্ড ক্যাপসুল কর্পোরেশন টোকিও থেকে জানানো হয়েছে, আকিরা তোরিয়ামা সাবডুরাল হেমাটোমায় ভুগছিলেন (মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ)।
ড্রাগন বল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি মাঙ্গা যার অ্যানিমেটেড সিরিজ এবং চলচ্চিত্র সংস্করণও তৈরি করা হয়েছে।
ভক্তরা তোরিয়ামাকে তাদের শৈশবের অংশ হয়ে উঠেছে এমন চরিত্র তৈরি করার জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
ড্রাগন বল কমিক সিরিজটি ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়। এতে গোকুর গল্প বলা হয়েছে যে সায়ান নামক এলিয়েন হিউম্যানয়েডের বিরুদ্ধে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য জাদুকরী ড্রাগন বল সংগ্রহ করার চেষ্টা করে।
মৃত্যুর সময় তোরিয়ামা বেশ কিছু কাজ শেষ করে যেতে পারেননি।
ড্রাগন বল ওয়েবসাইটের একটি বিবৃতি অনুসারে, তিনি ১ মার্চ মারা যান এবং শুধু তার পরিবার ও অল্প কয়েকজন বন্ধু তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন।
তার স্টুডিও জানিয়েছে, "তাঁর আরও অনেক কিছু অর্জন করা বাকি ছিল। কিন্তু তিনি এই পৃথিবীতে অনেক মাঙ্গা এবং শিল্পকর্ম রেখে গেছেন।"
স্টুডিওটি আরো জানিয়েছে, "আমরা আশা করি আকিরা তোরিয়ামার অনন্য সৃষ্টির জগৎ আগামী দীর্ঘ সময়ের জন্য সকলের কাছে ভালবাসা পাবে।"
ভক্তরা তোরিয়ামার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছে।
১৯৫৫ সালে জাপানের নাগোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তোরিয়ামা। ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে 'ডক্টর স্লাম্প' দিয়ে তিনি কমিক বইয়ের জগতে প্রবেশ করেন। এটি একটি ছোট মেয়ে রোবট আরাল এবং তার বিজ্ঞানী স্রষ্টার গল্প নিয়ে করা হয়েছিল।
তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ ছিল ড্রাগন বল। ড্রাগন বল অনেক ফ্যান ফিকশন লেখক এবং কসপ্লেয়ারদের অনুপ্রাণিত করেছে।
কার্টুন সংস্করণটি অনেক ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে এবং ড্রাগন বলের অ্যাকশন ফিগার জাপান থেকে চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত খেলনার দোকানে অনেক জনপ্রিয়।
২০১৩ সালে একটি জাপানি সংবাদপত্র আশাহিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তোরিয়ামা জানিয়েছিলেন, ড্রাগন বল কীভাবে সারা বিশ্বে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেই সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই। তিনি সিরিজটিকে একটি অলৌকিক ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুসারে তিনি বলেছিলেন, "আমি যখন সিরিজটি আঁকছিলাম তখন আমার একমাত্র চাওয়া ছিল জাপানের ছেলেদের খুশি করা।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়