সাভারের গজাইরার বিলে কোনো আবাসন নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানে (ড্যাপ) মূল বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ও সাতাইশকান্দি মৌজায় উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড এবং অ্যাচিভ কর্পোরেশন নামক আবাসন কোম্পানির অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পের জন্য মাটি ভরাট, প্লট বিক্রয়সহ সকল কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।
একইসাথে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশের পাশাপাশি আদালত উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড এবং অ্যাচিভ কর্পোরেশন নামক আবাসন কোম্পানিকর্তৃক মাটি ভরাট থেকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ওসাতাইশকান্দি মৌজায় অবস্থিত মূল বন্যা প্রবাহ এলাকা(স্থানীয়ভাবে গজাইরার বিল নামে পরিচিতি) রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা আইনের পরিপন্থী হওয়ায় কেন তা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা একটি জনস্বার্থমূলক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানী শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।
বেলা জানায়, জলাশয় রক্ষায় বিদ্যমান আইনের বিধান লঙ্ঘন করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড ও অ্যাচিভ কর্পোরেশন নামক আবাসন কোম্পানী কর্তৃক জলাশয় ভরাট বন্ধে ও বিলটি সংরক্ষণে বেলা উল্লেখিত মামলাটি দায়ের করে।
মামলার বিবাদীরা হলেন - গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ওজলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকাজেলার জেলা প্রশাসক, ঢাকার পুলিশ সুপার, রাজউকের প্রধাননগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলার উপপরিচালক, সাভার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড এবং অ্যাচিভ কর্পোরেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।