সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লেও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পাবেন না খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না পেলেও, তার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর হতে পারে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে আজ (২০ মার্চ) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, "খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের মেয়াদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে দুই শর্তে: এক, তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না এবং দুই, তাকে অবশ্যই ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে।"
এর আগে, গত সোমবার খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, "এবারের আবেদনেও আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী যেই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে আইনিভাবে আমাদের আর কিছু করার নেই।"
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজার মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানান রোগে ভুগছেন।