অমিতাভ-অভিষেকের পর এবার ঐশ্বরিয়া-আরাধ্যাও
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনেও। বলিউডের বেশ কয়জন বড় তারকা ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সম্প্রতিই বলিউড কিংবদন্তী আমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক বচ্চন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের নানাবতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অমিতাভের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, শুধু মৃদু উপসর্গ রয়েছে। তিনি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি আছেন।
অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বচ্চন পরিবারের আরও দুজন সদস্যের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর আসে।
ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও তার কন্যা আরাধ্যার টেস্টের ফলাফলে তাদেরও কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন তাঁর পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে ১৮০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ১৯৬৯ সালে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে, এরপর থেকে প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে রূপালি পর্দায় রাজত্ব করছেন তিনি। অন্যদিকে অমিতাভ-জয়া দম্পতির সন্তান অভিষেকও বাবার পথ ধরেই চলচ্চিত্র অভিনয়ে নাম লেখান। বাবার মতো খ্যাতির চূড়ায় না উঠতে পারলেও ৬৭টি সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন অভিষেক।
২০০৭ সালে এক সময়ের বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিষেক।
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৪৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের পর ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর তাদের একমাত্র সন্তান আরাধ্যার জন্ম হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভেসে বেড়াচ্ছে ৭৭ বছর বয়সী অভিনেতা অমিতাভ ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা কামনা করে শুভকামনার বার্তা।
পরেশ রাওয়াল, অক্ষয় কুমারসহ বলিউডের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী টুইটারে তার সুস্থতা কামনা করে টুইট করেছেন। অমিতাভও একটি টুইট করে তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানান।
করোনাভাইরাস সর্বাধিক শনাক্তের তালিকায় ভারত এখন তৃতীয় স্থানে। গত রোববার দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮ হাজার ৬৩৭ জনের। এটি দেশটির টানা চতুর্থ দিন হিসেবে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর ভারতের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন শনাক্ত হয়েছে যার মধ্যে মারা গেছেন ২২ হাজার ৬৭৪ জন।