কৃষির বাণিজ্যিকিকরণই প্রধান চ্যালেঞ্জ : কৃষিমন্ত্রী
বর্তমান সময়ে কৃষির বাণিজ্যিকিকরণই ‘প্রধান চ্যালেঞ্জ’ মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষিকে আরও বেশী আধুনিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তার মতে, প্রধান এই চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি মানুষকে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্পন্ন খাবার দেওয়াও সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, “নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকার কৃষি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করবে। তারই অংশ হিসাবে কৃষক যাতে তার পণ্যের দাম পায় সে ব্যবস্থা করবে।”
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে এই অধিদপ্তরকে পুনর্গঠিত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হলো আমাদের দেশে কৃষি পণ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি নেই। এজন্য মন্ত্রণালয় একটি ল্যাব করার চিন্তা করছে। এজন্য পূর্বাচলে ২ একর জমিও চাওয়া হয়েছে। এটা হলে কৃষি পণ্য রপ্তানি আরো বেড়ে যাবে। এখন কৃষি পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ। আশাকরি এটা আরো বাড়বে।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “কৃষির যান্ত্রিকীকরণের জন্য কৃষি যন্ত্রের ক্ষেত্রে দামের দিকে গুরুত্ব নয় বরং মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষি চাহিদার ভিত্তিতে কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। ভালো টেকসই মেশিন এর দাম বেশি হলে সেটাই গ্রহণ করা হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষককে কিভাবে লাভবান করা যায় তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, “বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যেমন বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় সুবিধা পেয়ে থাকেন তেমনই এগ্রিকালচার ইমপর্ন্টেন্ট পারসনদের (এইআইপি) জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। এ গাইডলাইন তৈরি হলে পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষকরা সরকারের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।”