ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে, ইসরায়েলে আক্রমণের পর জানাল চীন
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ইরানকে বলেছেন, ভবিষ্যতে দেশ দুটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। এ বার্তার মাধ্যমে ইসরায়েলে তেহরানের হামলার পরও দুই দেশের সম্পর্ক অটুট থাকার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ানকে এক ফোনকলে বলেন, 'চীন স্থিরভাবে ইরানের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে এবং চীন-ইরান সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত রয়েছে।'
বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ওয়াং আরও বলেন, চীন লক্ষ করেছে যে ইরান 'সীমিত' সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং 'আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে'।
তিনি বলেন, চীন বিশ্বাস করে যে ইরান 'আরও অস্থিরতা' এড়াতে পারবে।
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর যখন আরও বৃহৎ সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেই মুহূর্তে চীনের কূটনৈতিক সমর্থন পেল ইরান।
তেহরান বলেছে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় তাদের কনস্যুলেটে হামলায় ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার জবাবে এ হামলা চালিয়েছে তারা। এই প্রথম নিজ ভূমি থেকে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালাল ইরান।
ওয়াং অবশ্য চীন ইরানের সঙ্গে কোন ধরনের সহযোগিতা এগিয়ে নিতে যেতে প্রস্তুত, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি। তবে বেইজিং আগেও এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছর চীনের নেতা শি জিনপিং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে বেইজিংয়ে সাক্ষাতকালে দুই দেশের সম্পর্ক আর গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এদিকে ইরানের অপরিশোধিত তেল না কেনার জন্য চীনের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন ইরানের তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। যদিও জানুয়ারিতে দাম বাড়ানোর জন্য তেহরান তেলের চালান আটকে রেখেছিল।
গত বছর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে চুক্তি করতে সহায়তা করেছে। ব্রিকস জোটের সম্প্রসারণেও কাজ করেছে চীন। ২০২৪ সালে এ জোটের সদস্য হয়েছে ইরান।