প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩৬.১% ভোট পড়েছে: ইসি আলমগীর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
বুধবার (৮ মে) ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করা, জনপ্রিয় প্রার্থী না থাকা, হাওর এলাকায় ধানকাটা এবং বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি পড়াসহ নানা কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
ইসি আলমগীর বলেন, "ধান কাটার মৌসুম চলছে। বিশেষত হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটায় সবাই ব্যস্ত এখন।"
তিনি আরো বলেন, "সেসব এলাকার মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের আগেই জানানো হয়েছে, ধান কাটার মৌসুমের কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।"
তিনি বলেছেন, গাজীপুরের অধিকাংশ ভোটার কারখানা শ্রমিক হওয়ায় ভোট কম পড়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়।
এছাড়া গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন ইসি মো. আলমগীর।
পাশাপাশি একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণেও ভোট কম পড়েছে বলে তিনি যোগ করেন।
তিনি আরো জানান, প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। তিনি বলেন, "এ নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার এমন উপজেলাও আছে যেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে যে কোনো অনিয়ম ঠেকাতে কমিশন বদ্ধপরিকর ছিল। সবার সহযোগিতায় ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনে যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
১৩৯টি উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩.১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় এবং সর্বনিম্ন ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়।
২২ টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেখানে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৩১.৩১ শতাংশ। বাকি উপজেলায় ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়েছে।