১৫ দিন দায়িত্ব পালন করে ১৫ দিন ছুটিতে থাকবেন করোনার চিকিৎসক, নার্সরা
কোভিড-১৯ চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ সাধারণভাবে একাধারে ১৫ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করবেন না এবং প্রতিমাসে ১৫ দিন দায়িত্ব পালন শেষে পরবর্তী ১৫দিন তারা সঙ্গনিরোধ ছুটিতে থাকবেন।
২৯ জুলাই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ ১৫দিন কর্মকালীন পৃথক অবস্থানের জন্য বিশেষ ভাতা ও খাবারসহ আবাসনের সুবিধা পাবেন। ঢাকা মহানগরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ ১৫দিন কর্মকালীন পৃথক অবস্থানের জন্য-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি (BCSAA), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজমেন্ট (BIAM), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (NAPD), ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব এডুকেশনাল ম্যানেজমেন্ট (NAEM), টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (TTC) ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (NILG) তে থাকবেন।
আর ঢাকা মহানগরের বাইরে সকল জেলা/উপজেলা ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক সেখানে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি/প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এরূপ ব্যবস্থা করা হবে।
এতে বলা হয়, চিকিৎসক/নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত স্থাপনায় অবস্থান করবেন তাদের যাতায়াতের জন্য আবশ্যিকভাবে (প্রাপ্যতা সাপেক্ষে) বিআরটিসির যানবাহন ব্যবহার করতে হবে এবং এরূপক্ষেত্রে যানবাহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য বিআরটিসির নিকট থেকে প্রাপ্ত বিলের ভিত্তিতে বরাদ্দ দাবি করতে হবে। যেখানে বিআরটিসির যানবাহন নেই সেখানে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রিকুইজিশনকৃত/ভাড়ায় যানবাহন ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা মহানগরীর চিকিৎসকগণ দৈনিক ২০০০ ও ঢাকার বাইরের চিকিৎসকেরা ১৮০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এছাড়া ঢাকার নার্সরা ১২০০ ও ঢাকার বাইরের ১০০০ এবং ঢাকার অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ৮০০ ও ঢাকার বাইরের ৬৫০ টাকা করে দৈনিক ভাতা পাবেন। কেউ এক মাসে ১৫ দিনের বেশি ভাতা প্রাপ্য হবেন না এবং প্রাপ্যতা অনুসারে উক্ত বিশেষ ভাতা ভ্রমণ ও দৈনিক ভাতা আহরণের পদ্ধতিতে উত্তোলন করতে পারবেন।
পরিপত্রে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে দৈনিক ভাতার হিসেবে সরকারের নিকট বরাদ্দ দাবি করবে। বরাদ্দকৃত অর্থ হতে আবাসিক সুবিধা গ্রহণ না করে দৈনিক ভাতা গ্রহণকারীদের পরিশোধিত অর্থ বাদ দিয়ে বাকী অর্থ দ্বারা বিভিন্ন আবাসিক স্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও যানবহনের জন্য দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ সম্ভব না হলে প্রকৃত খরচের হিসাবসহ অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দাবি করা যাবে।