চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ফের ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, জনজীবন স্থবির
১৮ দিন পর ফের চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তীব্র দাবদাহ, সেইসঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪২ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, ১৮ দিন পর ফের চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি উঠল। এ কয়দিন তাপমাত্রা ৩২-৩৯ ডিগ্রির মধ্য উঠানামা করছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি লাগছে।
তিনি বলেন, গত ৬ মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১ মে এ মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গরমে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সকল পেশাজীবী মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের আইনজীবী তসলিম আহমেদ ফিরোজ বলেন, দিনে-রাতে সমান গরম লাগছে। বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শিশুরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে। তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি যখন ছিল তখনও এত বেশি গরম অনুভূত হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়িপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল শেখ বলেন, ভ্যাপসা গরমে কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি আসবেনা।
চুয়াডাঙ্গা জয়রামপুর গ্রামের ভ্যানচালক অহিদ জানান, মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। ভাড়া নেই বললেই চলে। গরমের কারণে রোজগার কম হচ্ছে।