দাম নিয়ন্ত্রণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ দিনে ১২০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
দেশের বাজারে দাম বাড়ায় ১০ মাস পর আবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) ও বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুই দিনে দেশের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩টি ট্রাকে ১২০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করে।
বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচা মরিচ যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রাজ এন্টারপ্রাইজ, শিমু এন্টারপ্রাইজ ও সেঞ্চুরী প্লাগ।
বন্দর সূত্র জানায়, প্রতি টন কাঁচা মরিচ ২৩৮ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে কেজিতে প্রায় ৭০ টাকা। এরপর রয়েছে পরিবহন খরচ। তবে আমদানি শুল্ক কমলে কাঁচা মরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান আমদানিকারকরা।
এদিকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ যেন সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। আমদানির খবরে এক দিনেই বন্দর এলাকার পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। তবে খোলা বাজারে এখনো ২০০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশে কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছিল।
আনিছুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, কাঁচা মরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে।
বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবারও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেন, সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, দুই দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩টি ট্রাকে করে ১২০ টন কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার পাঁচটি ট্রাকে ৩৭ টন ও বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৮৩ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। পণ্য চালান দ্রুত খালাস দিতে বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।