শ্রমবাজারে মার্কিন নাগরিকদের কাজ দিতে আউটসোর্সিং বন্ধ করে দিলেন ট্রাম্প
আমেরিকান সরকারি সংস্থারা দেশের নাগরিকদের কাজ বিদেশিদের দিয়ে করাতে পারবেন না। বেসরকারি সংস্থারাও আউটসোর্সিংয়ের জন্য H-1B ভিসা থাকা কর্মীদের ব্যবহার করতে পারবেন না। এই মর্মে সোমবার একটি নির্বাহী নির্দেশনামা সই করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নভেম্বরে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটে জিততে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন জনপ্রিয়তায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস বলেছে যে তারা এমন একটি নীতি রূপায়ণ করতে চায় যেখানে সরকারি সংস্থারা মার্কিন নাগরিকদেরই চাকরি দেবে। ট্রাম্পের মতে এটা অন্যায্য যে যোগ্যতাসম্পন্ন আমেরিকানদের চাকরি বিদেশিরা নিয়ে নেবে।
সব মার্কিন সংস্থা যাতে এই নিয়ম মানে তার জন্য অডিট করার কথাও বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। শ্রমদফতরকে বলা হয়েছে যে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে যারা H-1B ভিসা দিয়ে চাকরিতে লোক নিচ্ছেন, তারা যেন মার্কিনীদের চাকরি না খায়। অর্থাৎ কোনও মার্কিন নাগরিকের জায়গায় অন্য দেশের কর্মীকে H-1B ভিসা দিয়ে চাকরি দেওয়া যাবে না।
ঠিক এটাই করা হত আউটসোর্সিংয়ে, যেখানে অন্য দেশের থেকে সস্তায় ভালো কর্মীদের মার্কিন সংস্থারা নিযুক্ত করত। আমেরিকায় যে H-1B ভিসা দেওয়া হয়, তার সিংহভাগই যায় ভারতীয়দের কাছে। ফলে এই সিদ্ধান্তের ফলে যে ভারতীয়রা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা বলাই বাহুল্য। এখনও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ন্যাসকম।
ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজন ও সিলিকন ভ্যালির সমস্ত ছোটোবড়ো সংস্থাই H-1B ভিসা দিয়ে লোক নিয়ে আসে। একই কাজ করে আমেরিকায় স্থিত Infosys, TCS ও Wipro-র শাখা। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে করোনার বাজারে আউটসোর্সিং আরও খারাপ কারণ লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক এতে চাকরি হারাবেন। অস্থায়ী ভাবে ইতিমধ্যেই H-1B ভিসা দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে প্রশাসন। দেওয়া হচ্ছে না গ্রিন কার্ডও। এরপর এল এই ধাক্কা।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা। শেষ হয়ে যাবে অনেকের আমেরিকান ড্রিম।