ত্রিপুরা থেকে নতুন করে বিদ্যুৎ নয় : বিদ্যুৎ সচিব
সাশ্রয়ী না হওয়ায় ভারতের ত্রিপুরা থেকে আপাতত বিদ্যুৎ আমদানি করবে না বাংলাদেশ। কারণ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে যে সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে তা অনেক ব্যয়বহুল। আপাতত এই ব্যয়ের কোনও যৌক্তকতা নেই।
ভারত-বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব পর্যায়ে স্টিয়ারিং কমিটির ১৭ তম বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ডঃ আহমদ কায়কাউস।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টালে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে ব্যাক টু ব্যাক হাই ভোল্টেজ সাবস্টেশন (এইচএসভিডিসি) নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ এখন চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে তাই এই ব্যয়বহুল সাবস্টেশন করা যৌক্তিক নয়। কুমিল্লা এলাকায় প্রচুর গ্যাস আছে। প্রয়োজনে সেখানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে। ত্রিপুরা থেকে এখন যে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে এর বাইরে আর বিদ্যুৎ আনবে না বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে পরবর্তিতে ভারত থেকে সম পরিমাণ (৩৪০ মেগাওয়াট) বা চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে কিনা সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু জায়গা চিহ্নিত করেছি। যেগুলো নিয়ে কাজ করলে উভয় দেশ লাভবান হবে।’
সভায় ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ সহ ভারতীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, দ্রুত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে বলে আমরা আশা করছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনও বিষয়ে উত্তর দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।