বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে ৮ প্রতিষ্ঠান, উৎপাদনে আছে সিঙ্গার
বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে (বিএসইজেড) এখন পর্যন্ত ৮ প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালপক তারো কাওয়াচি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে।
রোববার (৪ জুন) রাজধানীতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বিএসইজেড, সুমিটোমো কর্পোরেশন এবং ব্র্যাকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তারো কাওয়াচি।
তিনি বলেন, "যে ৮টি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে তাদের মধ্যে চারটি জাপানের। এখানে বিনিয়োগের জন্য আরও ৬ থেকে ৮টি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে।"
সব প্রতিষ্ঠান মিলে মোট কতটি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানান কাওয়াচি। বলেছেন, "এটা গোপনীয়।"
তবে বেজা সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড তুর্কি কোম্পানি আরসেলিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৭৮ ডলার বিনিয়োগ করবে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৩৩.৪ একর, রুডলফ জিএমবিএইচকে (জার্মানি) ৫ একর, লায়ন কর্পোরেশনকে (জাপান) ৮.৪ একর, ওনোদাকে (জাপান) ৫ একর এবং নিক্কা (এনআইসিসিএ) কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডকে (জাপান) ৩.২ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন।
ব্র্যাকের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মূল বিষয়বস্তু হলো— কারিগরি, বৃত্তিমূলক, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে উৎপাদন, নির্মাণ ও অন্যান্য খাতের জন্য চাহিদা অনুযায়ী বিএসইজেড এলাকায় বসবাসকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান; বিএসইজেড–এর আশেপাশের এলাকায় প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান; ঋণ, সঞ্চয়, বীমাসহ আর্থিক পরিষেবা প্রদান এবং আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যকর করা; আশেপাশের অধিবাসী এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের জন্য সমন্বিত পরিষেবা যেমন– ক্ষুদ্রঋণ, দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, ডে-কেয়ার সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করা।
বিএসইজেড জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবেও পরিচিত। এটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ১,০০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের একটি যৌথ প্রকল্প।
ইউসুফ হারুন আশা প্রকাশ করেন, সমঝোতা স্মারকের এই উদ্যোগ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভাড়াটে, স্টেকহোল্ডার এবং আশেপাশের মানুষের চাহিদা কার্যকরভাবে পূরণ করবে।
বিএসইজেডের উন্নয়নে টেকসই পদ্ধতি নিশ্চিত করতে সুমিটোমো কর্পোরেশন এবং ব্র্যাকের মতো বড় সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।