মন্ত্রিসভায় পদ চান মোদির জোটমিত্ররা; চাহিদায় আছে রাজ্যের জন্য বাড়তি তহবিলও
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জোটসঙ্গী দলগুলো বৃহস্পতিবার (৬ জুন) তাদের আঞ্চলিক রাজ্যগুলোর জন্য বাড়তি তহবিলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আরও বেশি পদের দাবি করেছে। লোকসভা নির্বাচনের পর দেশটিতে বর্তমানে জোট সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে।
বুধবার মোদিকে জাতীয় ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের নেতা মনোনীত করা হয়। তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নির্বাচনে মূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরে সরকার গঠনে এটি আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এসব দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনতা দল (ইউনাইটেড)।
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫৪৩ সদস্যের মধ্যে ২৯৩টি আসন জিতেছে এনডিএ। এককভাবে সরকার গঠন করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কোনো দলকে ২৭২টি আসনে জয়লাভ করতে হতো।
কিন্তু নির্বাচনে মোদির বিজেপি মাত্র ২৪০ আসনে জয় পায়। ফলে ১৬ আসনে জেতা টিডিপি'র নেতা চন্দ্রবাবু নাইড়ু এবং ১২ আসনে জয় পাওয়া জনতা দলের (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার কিংমেকারের ভূমিকায় চলে যান। নীতিশ কুমার বর্তমানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
টিডিপি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে আঞ্চলিক নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। ফলে চন্দ্রবাবু নাইড়ু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
টিডিপির একজন মুখপাত্র এবং এনডিএ'র পাঁচটি সূত্রের মতে, উভয় দলই তাদের রাজ্যগুলোয় বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিনের দাবিগুলো নিয়ে চাপ দিচ্ছে।
কোনো রাজ্য বিশেষ মর্যাদা পেলে সেটি কেন্দ্র থেকে তুলনামূলক সহজশর্তে আরও বেশি উন্নয়ন তহবিল পায়। বিহার ভারতের দরিদ্রতম রাজ্য। অন্যদিকে ২০১৪ সালে অন্ধ্র প্রদেশ থেকে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা তৈরির পর অন্ধ্র প্রদেশ নিজের সম্পদ কিছুটা হারিয়েছিল।
বিশেষ মর্যাদা এবং মন্ত্রিসভায় পদের পাশাপাশি টিডিপি অন্ধ্র প্রদেশে সেচ প্রকল্পের জন্য এবং এটির নতুন রাজধানী অমরাবতী নির্মাণ সম্পূর্ণ করার জন্য কেন্দ্র থেকে আরও তহবিল চাইছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
টিডিপি মুখপাত্র জ্যোৎস্না তিরুনাগরী বলেন, 'আমরা এনডিএ জোটের সঙ্গে এবরাই প্রথমবার নয়। তাই আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের যা যা পাওয়ার কথা সেগুলো আমরা পাব।'
'এনডিএ-এর সঙ্গে আমাদের আগের মেয়াদে আমাদের দল থেকে মন্ত্রী পদ এবং লোকসভার [নিম্নকক্ষ] স্পিকারও ছিল। এবার আমরা একটি শক্তিশালী অংশীদার এবং দেশের জন্য আমাদের উভয়ের একই সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে,' বলেন তিনি।
জনতা দল (ইউ)-এর নীতিশ কুমারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পদ চাওয়ার পাশাপাশি বিহারের নতুন শিল্প প্রকল্পের জন্যও কেন্দ্রের সমর্থন চান বলে একটি এনডিএ সূত্র জানিয়েছে।