বিপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ নভেম্বরে
করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। দীর্ঘ বিরতির পর খেলা শুরু হয়ে শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছে শীর্ষ কয়েকটি ফুটবল লিগের। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরপর অনুষ্ঠিত হয়েছে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ।
বর্তমানে চলছে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। তবে খেলা ফিরলেও ফেরেনি স্বাভাবিক অবস্থা। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে দর্শকবিহীন মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সব ম্যাচ। এ অবস্থাতেই দেশে ক্রিকেট ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইপিএলের এবারের আসর।
ক্রিকেট ফেরানোর পরিকল্পনা আটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ভাবনায় আপাতত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বিপিএল আয়োজন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিসিবি।
যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে বিপিএল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিসিবি। এই আসরটি আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরআগে পরীক্ষামূলকভাবে সেপ্টেম্বরে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা হতে পারে। এই আসরটি ভালোভাবে আয়োজন করা সম্ভব হলে বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা সাজাবে বিসিবি।
এমনই জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। যদিও তিনি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলছেন। কারণ বিসিসিআইয়ের মতো অন্য দেশে গিয়ে বিপিএল আয়োজন করতে চায় না বিসিবি।
ইসমাইল হায়দার বলেন, 'দর্শকবিহীন মাঠে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ফিরেছে। ভারত আইপিএল আয়োজন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিসিবির এতো অর্থ নেই যে, দেশের বাইরে বিপিএল আয়োজন করবে। বিপিএল একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এখানে বিদেশি ক্রিকেটার, আম্পায়ার, কোচ, ট্রেনার থাকেন।'
'এ ছাড়া ব্রডকাস্টার কোম্পানির সঙ্গে এক-দেড়শ বিদেশি থাকেন। এদের সবার কথা ভাবতে হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনোভাবেই বিপিএল আয়োজন করা সম্ভব নয়। নভেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিপিএল আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।' প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করা হতে পারে।