তিন মিনিটে সেমি ফাইনালে পিএসজি
৯০ মিনিটের ম্যাচ। অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে কখনও কখনও ১০০ মিনিটও হয়ে যায়। কিন্তু বুধবারের পর প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর জন্য হয়তো ফুটবল ম্যাচের সংজ্ঞাটা একটু ভিন্নই হয়ে গেছে। পুরো ম্যাচে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা পিএসজিই ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে উঠে গেছে।
আতালান্তার বিপক্ষে পিএসজির করা দুটি গোল এসেছে মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে। সেটাও একেবারে শেষ মুহূর্তে। ম্যাচের শেষ মিনিটে সমতায় ফেরা ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা সেমির টিকেট কাটে অতিরিক্ত সময়ের (৯৩ মিনিট) গোলে।
হার দেখতে পাওয়া পিএসজিই শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসে মাঠ ছেড়েছে। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজিকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে আতালান্তা। আক্রমণাত্মক ফুটবলে নেইমার-এমবাপ্পেদের পিলেই চমকে দিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
এক লেগের কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে উঠলো পিএসজি। এতে দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষাও ফুরিয়েছে তাদের। ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনার খেলে তারা।
ম্যাচের ফল পিএসজির পক্ষে গেলেও পুরো ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে আতালান্তাই। শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলা আতালান্তা ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায়। ডি-বক্সের ফাঁকায় বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল আদায় করে নেন মারিও পাসালিচ।
ব্যবধান ধরে রেখেই প্রথমার্ধ শেষ করে আতালান্তা। দ্বিতীয়ার্ধও শেষ হচ্ছিল একইভাবেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ৯০ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস। আর যোগ করা সময়ে আতালান্তার জালে বল পাঠিয়ে পিএসজিকে দারুণ এক জয় উপহার দেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং।