ভারতের অমরাবতীতে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ফ্লাইং স্কুল নির্মাণ করবে এয়ার ইন্ডিয়া
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন ভারতের পতাকাবাহী বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিদর্ভ অঞ্চলের অমরাবতীতে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ফ্লাইং ট্রেনিং অর্গানাইজেশন (এফটিও) স্থাপন করতে যাচ্ছে, যেটি ভারতের পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করবে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র বিমানবন্দর উন্নয়ন সংস্থা (এমএডিসি) থেকে অমরাবতীতে অবস্থিত বেলোরা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্বাতি পান্ডে জানিয়েছেন, 'বেলোরা বিমানবন্দরের পরিকাঠামোকে ইনস্ট্রুমেন্ট-ল্যান্ডিং এবং নাইট-ল্যান্ডিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করার সুবিধার্থে আরো উন্নত করা হয়েছে।'
ফ্লাইং স্কুলে ব্যবহৃত হতে যাওয়া এটিআর এবং কিউ৪০০ প্লেনগুলোর জন্য বেলোরা বিমানবন্দরের রানওয়ে ১ হাজার ৩৭০ মিটার থেকে প্রসারিত করে ১ হাজার ৮৫০ মিটার করা হয়েছে।
২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এফটিও বা ফ্লাইং স্কুলটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি বছর ১৮০ জন পাইলট (বাণিজ্যিক খাত) এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
এটি ভারতীয় যেকোনো বিমান সংস্থার তত্ত্বাবধানে চালু হতে যাওয়া ভারতের প্রথম ফ্লাইং স্কুল। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য ৩১টি একক-ইঞ্জিন এবং ৩টি টুইন-ইঞ্জিন (দ্বৈত ইঞ্জিন) প্লেন ব্যবহার করা হবে।
১০ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হতে যাওয়া ফ্লাইং স্কুলটির নিজস্ব স্মার্ট ক্লাসরুম, বিশ্বমানের হোস্টেল এবং একটি ডিজিটাইজড অপারেশন সেন্টার থাকবে। স্কুলটির কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এর নিজস্ব রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা থাকবে।
৩০ বছরের জন্য একটি ডিজিডিসিএ- লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফ্লাইট ট্রেনিং অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করার জন্য এমএডিসি থেকে এয়ার ইন্ডিয়াকে একটি টেন্ডার দেয়া হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার এমডি এবং সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন বলেছেন, 'ভারতীয় বিমান চলাচলকে আরও স্বনির্ভর করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এফটিওর তরুণ পাইলটরা এয়ার ইন্ডিয়াকে একটি বিশ্বমানের এয়ারলাইন হওয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।'
এমএএডিসি এবং এয়ার ইন্ডিয়ার মধ্যকার এ সহযোগিতামূলক উদ্যোগ ভারতের এভিয়েশন সেক্টরে ৩ হাজারের বেশি নতুন চাকরি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরেও বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এমন উদ্যোগের ফলে আগামী এক দশকের মধ্যে রাজ্যের জিডিপিতে ১ হাজার কোটি রুপির বেশী জিডিপি যোগ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল এবং তার ছেলে রাজেন্দ্র শেখাওয়াত প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও মহারাষ্ট্রের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-এর মা অমরাবতীর বাসিন্দা ছিলেন।