পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা প্রণয়নে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা প্রণয়নে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মোট ১১ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।
এর আগে গত বুধবার (৩ জুলাই) দেশের সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে ছয় মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। শিশুটির মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য, এ ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার আমাদের দেশে অনেক বেশি। অস্ত্রোপচারের পর মায়ের সুস্থ হতে সময় লাগে। এ সময় নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা প্রথমবার বাবা হন, তাদের জন্য স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়।
প্রতিবেশি দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।