ছাত্রদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরে উদ্বেগ জাতিসংঘ মহাসচিবের
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজারো তরুণ ও রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া বিবৃতিতে একথা বলা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গতকাল এটি পড়ে শোনানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গতকাল সোমবার দেশটিতে নতুন করে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরুর বিষয়েও তিনি অবহিত। সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকতে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। শিক্ষার্থী আন্দোলন ঘিরে হাজারো তরুণ ও রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের খবরে তিনি উদ্বিগ্ন। এমতাবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিব যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরেও তিনি উদ্বিগ্ন। সহিংসতার সব ঘটনা অবিলম্বে স্বচ্ছ-নিরপেক্ষভাবে তদন্তসহ দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তিনি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা ও নিউইয়র্ক উভয় স্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উদ্বেগ জানানো অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ । শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে— তারা বাংলাদেশকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তা সমুন্নত রাখার বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে। জাতিসংঘের লোগো-সংবলিত যানবাহন আর বাংলাদেশে মোতায়েন করা হবে না বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে। তারা বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, পুনরাবৃত্তি করছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনকালেই শুধু বিশ্ব সংস্থাটির লোগো–সংবলিত যানবাহন ব্যবহার করবে সেনা-পুলিশ পাঠানো দেশগুলো।