নৌপরিবহন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য কোরিয়ার প্রতি আহ্বান
নৌপরিবহন ও মৎস্য খাতে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গ্লাড হোটেলে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়কমন্ত্রী মুন সিয়ং হাইওকের সাথে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিপুল জনসংখ্যার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশে নৌ সেক্টরে দক্ষ জনবল রয়েছে। ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বড় বাজার।
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের শিপিং সেক্টরের উন্নয়নে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল এবং লিকুয়িড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বৈঠকে তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে ব্লু বায়ো-টেকনোলজি, টাইডাল এনার্জি, ওসান সেফটি, মেরিটাইম সেক্টরে ট্রেনিং, বাংলাদেশের নাবিকদের চাকরি এবং শিপ বিল্ডিংয়ের বিষয়গুলো তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় কোরিয়ার বিনিয়োগের লক্ষ্যে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান। বুধবার কোরিয়ার বৃহত্তম বন্দর ‘বুসান বন্দর’ পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বন্দর ও এর আওতাধীন এলাকা উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছরের ১ এপ্রিল ঢাকায় একটি সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মাণাধীন বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক উন্নয়ন ডিটেইল ডিজাইন ও সুপারভিশনের জন্য কোরিয়ার কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং দায়েউ কোম্পানিকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
পায়রা বন্দরের ‘ডিপ ওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মাণ এবং বাংলাদেশের নতুন চারটি মেরিন একাডেমির যেকোনো একটির প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার বিষয়েও কোরিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৩০ আগস্ট তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।