দীপু মনির ৪ দিন, আরিফের ৫ দিনের রিমান্ড
হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ৪ দিনের রিমান্ড ও সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ড আবেদন করলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানের মালিক আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
এদিকে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে দীপু মনিকে আদালতে নেওয়ার সময় বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা সিএমএম আদালত চত্বরে জড়ো হন এবং দীপু মনির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, "ভিকটিমকে হত্যার ঘটনা সংক্রান্তে আসামিরা জ্ঞাত আছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এবং মামলার মূলরহস্য উদঘাটন, এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে এবং মামলার ভিকটিমকে হত্যাকারী, হত্যার হুকুমদানকারী, উসকানিদানকারী ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের নাম ও উক্ত ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ এবং গ্রেফতারের নিমিত্তে ডা. দীপু মনি (৫১) এবং আরিফ খান জয়কে (৫৩) ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ প্রদানে আদালতের সদয় মর্জি হয়।"
গতকাল (সোমবার) রাতে দীপু মনিকে রাজধানীর গুলশানের বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে আটক করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর ও ঢাকায় মামলা রয়েছে। রাতেই তাকে মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
একইভাবে গতকাল (সোমবার) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০১৪ সালে নেত্রকোনা–২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। চার বছর এ দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি।