টানা বৃষ্টিতে নাকাল বরিশাল, তলিয়ে গেছে প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বরিশাল বিভাগে ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।
বৃষ্টির প্রভাবে বরিশাল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে বড় কোনো সতর্কসংকেত না থাকায় বরিশাল-ঢাকা ও বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।
নগরীর কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা আখি আক্তার ভোগান্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'খালের পাশেই আমাদের ছোট ঘর। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে খালের পানি উঠে আমাদের ঘর তলিয়ে গেছে। এটি বস্তি হওয়ায় সবাই-ই তাদের টয়লেটের পাইপ খালে দিয়ে রাখে। এখন সেগুলো পানির সাথে সবার ঘরে উঠে এসেছে।'
আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিনা আল আমিন বলেন, 'আমরা দুইদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। আশপাশের সব এলাকার সড়কে পানি উঠে গেছে। এমনকি বরিশালের সদর রোডেও পানি উঠেছে।'
বটতলা এলাকার ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, 'আমাদের বাজার পানিতে ডুবে গেছে। বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ রেখেছি। ক্রেতারা আসতে পারছে না, আমরাও হাঁটুসমান পানি পার হয়ে দোকানে যেতে পারছি না।'
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অভ্যন্তরীণ রুটের ছোট লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধ ছিল। তবে আজ থেকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলো প্রতিদিনই চলেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে বরিশাল নদীবন্দরে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই লঘুচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।