আফগানিস্তান যুদ্ধ: তালেবানদের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনা শুরু
আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবানদের মধ্যে প্রায় দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিবিসি'র এক খবরে বলা হয়, আলোচনার শুরুতে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই দোহায় এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
গত ফেব্রুয়ারিতে সম্মত হওয়া বিতর্কিত বন্দি বিনিময় চুক্তির বিষয়ে তিক্ত অসম্মতির কারণে পরিকল্পিত সময়ের চেয়ে ছয়মাস পর যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এ আলোচনা শুরু হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ ভয়াবহ বিমান হামলার ১৯তম বার্ষিকীর একদিন পর আফগান শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে। আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে সহযোগিতা করা তালেবান সরকারকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানোয় ওই বিমান হামলা চালানো হয়।
এ শান্তি আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, 'সংঘাত পরিহার এবং আফগান জনগণের চাহিদা পূরণ করে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে ব্যাপারে উভয় পক্ষ দ্বিধাহীনভাবে অগ্রসর হবে।'
বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে বাসসের এক খবরে বলা হয়, নভেম্বরে পুন:নির্বাচনে ভোটের লড়াই নামা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসানে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তিনি চান আগামী বছর নাগাদ সকল বিদেশি সৈন্য আফগানিস্তান ত্যাগ করুক।
আফগানিস্তানের ব্যাপারে একটি পরিপূর্ণ শান্তি চুক্তি করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। আর এটি নির্ভর করবে দেশের জন্য তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিশন কার্যক্রমে উভয় পক্ষের ইচ্ছার ওপর।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো তালেবান একটি ইসলামিক 'আমিরাতের' ব্যাপারে আফগানিস্তানকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে চাপ দেবে।
অপরদিকে গনির প্রশাসন পশ্চিমা সমর্থিত সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রের স্থিতাবস্থা বজায় রাখা চেষ্টা চালাবে। পশ্চিমা ধাচের এ সংবিধানে নারীদের ব্যাপক স্বাধীনতা দেয়াসহ আরো অনেক অধিকারের কথা সন্নিবেশিত করা হয়েছে।