২০২১ সাল থেকে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ সাল হতে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোন সাময়িক পরীক্ষা থাকছে না। নতুন এ পদ্ধতি আগামী বছর ১০০ বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “২০২১ সাল থেকে আমরা নতুন কারিকুলামে কার্যক্রম শুরু করব। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা রাখব না। বছর জুড়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। এতে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের যাতে বইয়ের বোঝা না থাকে সেটি স্থানীয়ভাবে প্রশাসন দেখবে। আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব।”
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এ হারে সন্তুষ্ট নন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বহুভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’।
“তবে এবার যে ১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে আমরা তাতে সন্তুষ্ট নই। এ বছর আমরা আরও এগিয়ে যাব বলে আশা করছি।”
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলায় ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪ উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেয়া হয়েছে।
দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনো অনেক শিশু বিদ্যালয় বহির্ভূত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পিইডিপি-৪ এর সাব-কম্পোনেন্টের আওতায় ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত ১০ লাখ শিশুকে উপ-আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিভাবকরা শিশুদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চায় না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভালো শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক থেকে কিন্ডারগার্টেন ও ইংলিশ মিডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
“আমরা প্রাথমিকে ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করতে কাজ করছি। একদিন প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে ভালো মানের হবে।”