দেশ ছেড়ে পালানো ব্যক্তিদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি বিএনপি নেতা ফারুকের
ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশ ছেড়ে পালানো ব্যক্তিদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেছেন, 'সরকারকে অবশ্যই যারা দেশে ছেড়েছেন, তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। কী করে গেল, কেমন করে গেল… যারা বাংলাদেশে অনেক মায়ের বুক খালি করেছে, তারা কী করে হিন্দুস্তানে পালিয়ে যায়, সেই শ্বেতপত্র সরকারকে প্রকাশ করতে হবে।'
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথোপকথনের বিষয়টি তুলে ধরেন, যেখানে শেখ হাসিনাকে যেকোনো সময় দেশে ঢুকে পড়ার কথা ব্যক্ত করতে শোনা যায়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, 'হুট করে দেশে চলে আসবেন? টেলিফোনে কথা-বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, এত সহজ নয়। চুরি করে পালাতে পারেন ভারতে, এখন আওয়ামী লীগের বিজিবি নয়, এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের বিজিবি। বর্ডার খুব শক্ত।
সাবেক বিরোধীদলীয় এই চিফ হুইপ উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সহায়তায় বাংলাদেশে দমিয়ে রাখার পাঁয়তারা চালাচ্ছে ভারত।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের মন বড়, কলিজা অনেক বড়। বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। দিনের ভোট আর রাতে দেব না, এই আন্দোলন কোনোভাবে বৃথা যাবে না।'
ফারুক বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের অধীনে নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যেখানে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশের মানুষের চাওয়া ড. ইউনূসের সরকার যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪০ লাখ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'জনগণ এখন প্রশ্ন করছে, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুযায়ী কেন এই ৪০ লাখ মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।'