লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাসে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, নিহত ৩, আহত ৯
লক্ষ্মীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসের গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৯ জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে মেঘনা ক্ল্যাসিক বাসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি।
নিহতরা হলেন: লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে মোটর মেকানিক মো. হৃদয় (১৯), পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ (৩২) ও সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে সুজন।
আহত ৯ জনের মধ্যে একজন জেলার রায়পুর উপজেলার চরমোহনা গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে শহিদ উল্যা (৪৯)। বাকি ৮ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের মধ্যে কারও হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন আহত ও নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি আহতদের অবস্থা একেবারে আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৫-৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কারও হাত, করো পা, কারো জিহ্বা, কারো বুকে আঘাত লেগেছে। একজনের পা ও একজনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে চলাকালকারী মেঘনা ক্লাসিক নামক একটি বাস রাত ১ টার দিকে গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে যায়। বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাসের আশপাশে থাকা লোকজন আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহত তিনজনকে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
গ্যাস পাম্পের নিরাপত্তাকর্মী হুমায়ুন বলেন, বাসটিতে গ্যাস রিফিল করার সময় সেটি কেঁপে ওঠে। রিফিল কর্মী দ্রুত গ্যাসের নাজল খুলে নেন। সাথে সাথেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় আশেপাশে থাকা লোকজন আহত ও নিহত হয়। বিকট শব্দে পাম্পের বিভিন্ন স্থানে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে যায়৷