যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, আমিরাতে রাষ্ট্রদূতদের চুক্তি বাতিল করেছে সরকার
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল অন্তর্র্বতী সরকার। সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চুক্তি বাতিল হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কামরুল আহসান, ওয়াশিংটন ডিসির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং আবুধাবি দূতাবাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আবু জাফর।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উল্লিখিত কর্মকর্তাদের সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে, সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সাংবাদিক মুশফিকুর ফজল আনসারীকে চুক্তিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে আনসারীকে পদায়নের জন্য তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে চুক্তিতে তিন বছরের আনসারীকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হলো। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছেন। প্রায় এক দশক তিনি হোয়াইট হাউজ, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিমণ্ডলে পেশাদার এই সাংবাদিক বাংলাদেশের ভঙ্গুর মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আওয়ামী লীগের শাসনের নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।
এছাড়াও তিনি মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত বৈদেশিক নীতি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদক ছিলেন। এছাড়াও বার্তাসংস্থা ইউএনবিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছেন। ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্টও।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল- জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের সম্পাদনা করেন তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে প্রায় এক দশক নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফেরেন তিনি।