শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান
এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে কী দারুণ সফরই না কাটলো আফগানিস্তান 'এ' দলের! গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারানো দলটি সেমি-ফাইনালে রানের পাহাড় গড়ে হারিয়ে দেয় ভারতকে। শিরোপার লড়াইয়েও আফগানদের দেখা গেল একই ছন্দে। আসরে দ্বিতীয়বারের মতো লঙ্কান 'এ' দলের মুখোমুখি হওয়া আফগানিস্তান আবারও ওড়ালো বিজয় নিশান। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আসর শুরু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই শিরোপা জিতলো তারা।
রোববার ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আফগানিস্তান। তাদের জাতীয় দল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলে। এবার 'এ' দলও সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করলো। প্রথমবারের মতো এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজন করা হয় ইমার্জিং এশিয়া কাপ, আফগানরাও আসরটিতে জিতলো প্রথম শিরোপা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। মোহাম্মদ ঘাজানফার, বিলাল সামি, শরাফুদ্দিন আশরাফদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সাহান আরচ্চিগে দারুণ এক ইনিংস খেললেও বাকিরা সেভাবে ব্যাট চালাতে পারেননি। ৭ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে আসরজুড়ে রানের ফোয়ারা বইয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতা সাদিকুল্লাহ অতল ও করিম জানাতের ব্যাটে ১১ বল হাতে রেখেই জিতে যায় আফগানিস্তান।
লক্ষ্য তাড়ায় আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সাদিকুল্লাহ। আগের ম্যাচগুলোয় ঝড় তুললেও বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান আজ টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি। ৫৫ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। আফগানদের খেলা ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হাফ সেঞ্চরি করা সাদিকুল্লাহ ১২২.৬৬ গড় ও ১৪৭.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৩৬৮ রান করেন।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে তিনি। কেবল উপরেই নন, বাকিদের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে সাদিকুল্লাহ। টুর্নামেন্টে আর কেউ ২০০ রানও করতে পারেননি। দুই নম্বরে থাকা হংকংয়ের বাবর হায়াতের রান ১৬২। আজ শিরোপার লড়াইয়ে ২৭ বলে ৩টি ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন জানাত। অধিনায়ক দারউইস রসুলি ২৪ ও মোহাম্মদ ইশাক ১৬ রান করেন। শ্রীলঙ্কার আরচ্চিগে, দুশান হেমন্ত ও ইশান মালিঙ্গা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কার ইনিংসে একটি নাম জ্বলজ্বলে। বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে ৪৭ বলে ৬টি চারে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন আরচ্চিগে। পবন রত্নায়েকে ২০ ও নিমেশ ভিমুকথি ২৩ রান করেন। লঙ্কানদের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ম্যাচসেরা আফগান স্পিনার ঘাজানফার ৪ ওভারে ১৪ রানে ২টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট পান বিলাল সামি। শরাফুদ্দিন দারুণ বোলিং করলেও উইকেট পাননি, ২ ওভারে তার খরচা ৮ রান।