ইরাকে তাজিয়া মিছিলে পদদলিত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু
পবিত্র ধর্মীয় শহর কারবালায় তাজিয়া মিছিলে পদদলিত হয়ে ৩১ জন নিহত হয়েছেন।ইরাকের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা উদযাপনের সময় এ ঘটনায় আরও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তাকর্মীরা এপিকে জানিয়েছে। কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেন। কারণ তাদের সরকারি বিবৃতি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না।
প্রতি বছর আশুরার দিনে কারবালায় হাজির হন কয়েক লাখ শিয়া ভক্ত। তলোয়ার দিয়ে নবীন ভক্তরা নিজের কপাল চিরে রক্তাক্ত হন।
তবে কেবল শিয়ারা নন, সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে আশুরার দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যময়।ইসলাম ধর্মমতে, মহান আল্লাহ এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
আশুরার দিনে আল্লাহ পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। হযরত নুহ (আ.)এর প্লাবন শেষ হবার দিনও এটি। নুহ (আ.)এর জাহাজ এ সময় তুরস্কের ‘জুদি’ নামক পর্বতে গিয়ে থামে।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) জালিম বাদশাহ নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে এবং হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আশুরার দিনে। তাছাড়া হযরত আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি সেরে যায় এবং হযরত সুলাইমান (আ.) ফিরে পান তাঁর হারানো রাজত্ব। ওদিকে, হযরত ইয়াকুবও (আ.) হারানো ছেলে হযরত ইউসুফের (আ.) সঙ্ড়ে ৪০ বছর পর মিলিত হন।
হযরত ঈসা (আ.)ও জন্মগ্রহণ করেন এ দিনেই এবং এ দিনেই তাঁকে দুনিয়া থেকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
সর্বশেষ ৬৮০ সালের এ দিনে ফোরাত নদীর তীরে ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) তাঁর পরিবার ও শিষ্যদেরসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর শাহাদাতবরণের জন্যই দিনটি মুসলিমদের কাছে বেমি শোকাবহ।
শিয়া-অধ্যুসিত দেশগুলোতে তাজিয়া মিছিলে এমন দিনে পদদলিত হযে মৃত্যুর ঘটনা আরও কয়েকবার ঘটেছে।