ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি: মাঠপর্যায়ে কর্মরত ডিএমপি সদস্যদের তথ্য চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল
জুলাই–আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন ইউনিটের কর্মরত সদস্যদের তথ্য চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের ইমেইলে অথবা ছাপা কাগজে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে এসব তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল অনেক আগেই এসব তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। 'তথ্য পাওয়ার পর তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
এ চিঠির প্রেক্ষিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার ইতোমধ্যে ২২টি বিভাগের উপ-কমিশনারদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
ডিএমপির ক্রাইম ইউনিটের ডিসি মামুন অর রশীদের ৪ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চাহিদার ভিত্তিতে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোতায়েনকৃত ফোর্সের সিসি-এর সত্যায়িত ফটোকপি এবং গুলিবর্ষণ করে থাকলে ব্যবহৃত অস্ত্রের ধরন, কত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট স্থানের কমান্ডিং অফিসারের নাম ও পদবীসহ তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর অন্তর্ভুক্ত কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিসি বরাবর পাঠানো চিঠিতে কেবল ১৮–১৯ জুলাই এবং ৩–৫ আগস্ট মোতায়েনকৃত সদস্যদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার কারফিউ ভেঙে আন্দোলন শুরু হলে ১৮–১৯ জুলাই সিটিটিসি সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। পরে, ৩ আগস্ট ফের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে এ ইউনিটের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
চিঠি পাঠানোর বিষয়ে সিটিটিসি ও ডিএমপির ক্রাইম ডিভিশনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।