ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এলসি শোধে বিলম্ব না করার নির্দেশ
বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডলার সংগ্রহ থাকায় ব্যাংকগুলো যথাসময়ে এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট/ঋণপত্র) পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। তাতে বলা হয়, কোনো ব্যাংকের দেরি করে অর্থ পরশোধের মত কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সময়মত এলসির বিল পরিশোধ না করায় দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিদেশের ব্যাংকগুলোর সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে অনেক ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার শর্ট পজিশন থেকে বর্তমানে লং পজিশনে রয়েছে। অর্থাৎ, ডলার সরবরাহ বেড়েছে। তারপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, অনেক ব্যাংকের কাছে ডলার থাকার পরও তারা ফরেন পেমেন্টগুলোতে বিলম্ব করছে।
মূলত এ কারণেই নির্দেশনাটি দেওয়া হয়েছে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ এবং এর দায়গুলোর মধ্যকার পার্থক্যকে ওই ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ নেট ওপেন পজিশন (এনওপি) বলে।
লং এনওপি হলো, যখন ব্যাংকের দায়ের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ বেশি থাকে; আর যখন সম্পদের তুলনায় দায় বেশি হয়, তখন সেই পরিস্থিতিকে বলা হয় শর্ট এনওপি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর গেল তিন মাসে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে রেমিট্যান্স এসেছে ৭.০৩ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে মূলত আমদানি এলসি খোলার চাপ কম থাকায় ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার রিজার্ভ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
ফলে গতকালের সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথাসময়ে এলসি নিষ্পত্তির বিষয়টি জোর দিয়েছে।
আমদানি পেমেন্ট বিলম্ব করলে এলসি রেস্ট্রিকশন করে দেওয়া হবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কোনো ব্যাংক যেন ডলার ধরে রেখে মার্কেতে কারসাজি না করে। কোনো ব্যাংকের আমদানির বিল পরিশোধে দেরি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই ব্যাংকের আমদানি এলসি খোলায় রেস্ট্রিকশন দিতে পারে।
সোমবার বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে সভায় ব্যাংকগুলোকে এমন কথা বলা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা।
সভায় সোনালী, রূপালী অগ্রণী, জনতা, ব্র্যাক, সিটি, ঢাকা, ডাচ বাংলা, ইস্টার্ন, পূবালীসহ মোট ১৭টি ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।