ইয়ানসেন তোপে সর্বনিম্ন রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের পর হয়তো কেউ কেউ মনে করে থাকতে পারেন, বিপাকে পড়তে যাচ্ছে তারা। শ্রীলঙ্কার বোলারদের তোপে ১৯১ রানেই অলআউট প্রোটিয়ারা। কিন্তু এই সংগ্রহ বড় মনে হতে পারে, বড় লিড মিলতে পারে; সেটা নিশ্চয়ই কেউ ধারণা করেননি। ভালো বোলিং করার স্বস্তি নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দিক হারানো শ্রীলঙ্কা প্রতিপক্ষের করা রানের চার ভাগের এ ভাগও করতে পারেনি।
ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেনের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সময় যতো গড়িয়েছে, ততো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন ইয়ানসেন। বাঁহাতি প্রোটিয়া এই পেসারের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন লঙ্কান ব্যাটসম্যান। তাদের অসহায়ত্ব আর ঘোচেনি, দুর্বার ইয়ানসেনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪২ রানেই অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
নিজেদের ৪২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটাই শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। তাদের আগের সর্বনিম্ন ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। ১৯৯৪ সালে ক্যান্ডির টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার দল। ৩০ বছর পর এসে অস্বস্তির এই রেকর্ড পড়তে হলো লঙ্কানদের। কেবল নিজেদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহই নয়, দৈর্ঘ্য বা বলের হিসেবেও এটা শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ছোট ইনিংস।
দলটির আগের ছোট ইনিংস ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২০২২ সালে গল টেস্টে ২২.৫ ওভারে (১৩৭ বল) অলআউট হয় তারা, রান তোলে ১১৩। আজ শ্রীলঙ্কা মাত্র ১৩.৫ (৮৩ বল) ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে। দৈর্ঘ্য বা বলের হিসেবে টেস্টের ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ততম ইনিংস। অস্বস্তির এই রেকর্ডে সবার উপরে দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯২৪ সালে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২.৩ ওভারে (৭৫) গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
ডারবানে দুঃস্বপ্নের সময় কাটানো শ্রীলঙ্কার মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেছেন। ইনিংস সেরা ১৩ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস, ১০ রান করেন লাহিরু কুমারা। বাকিদের কেউ ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার ৫ জন ব্যাটসম্যান রানের খাতা খুলতে পারেননি। শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া ইয়ানসেন ৬.৫ ওভারে ১৩ রানে ৭টি উইকেট নেন, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। জেরাল্ড কোটসিয়া ২টি ও কাগিসো রাবাদা একটি উইকেট নেন।