বেতনের কারণে পদত্যাগের কথা ভাবছেন বরিস জনসন
বার্ষিক বেতন কম হওয়ার কারণে পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সংবাদমাধ্যম মেট্রো ইউকে-কে এ খবর জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
মেট্রো ইউকের প্রতিবেদনে তার দলের এক এমপির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস বর্তমানে যে বেতন পান, তা দিয়ে তার পারিবারিক খরচ চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই পদত্যাগের কথা ভাবছেন তিনি।
বর্তমানে বরিস জনসনের বার্ষিক বেতন দেড় লাখ পাউন্ড বা প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে দ্য টেলিগ্রাফে কলাম লিখে মাসপ্রতি ২৩ হাজার পাউন্ড আয় করতেন বরিস; বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েই মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতেন তিনি।
মিররের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক মাসে দুটি সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েই তার আয় হতো দেড় লাখ পাউন্ডের বেশি।
তবে হোয়াইটহল সূত্রের খবর, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে আরও ছয় মাস অপেক্ষা করবেন বরিস জনসন। ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এবং করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির পরই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিবেন।
তার এক সহকর্মী জানান, বরিস জনসন তার ছয় সন্তানের ভরণ-পোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তার ছোট ছেলে উইলফ্রেডকে ইটন কলেজে ভর্তি করতে পারছেন না; কারণ এতে বার্ষিক ৪২ হাজার ৫০০ পাউন্ড খরচ হবে। এছাড়াও তার প্রাক্তন স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদের চুক্তি অনুযায়ী ভরণ-পোষণের খরচ দিতে হয়।
সরকারি কর্মচারী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে উপস্থিত থেকে ও বক্তৃতা দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনেক ব্রিটিশ এমপি মনে করছেন, বরিস জনসন তার পূর্বসূরী থেরেসা মে'র প্রতি ঈর্ষান্বিত। গত বছর থেরেসা মে পদত্যাগের পর থেকেই সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে ১ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি উপার্জন করেছেন। অন্যদিকে, ডেভিড ক্যামেরন প্রতি বক্তৃতায় ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড আয় করেন। এছাড়াও টনি ব্লেয়ার বর্তমানে উপদেষ্টার কাজ ও বক্তৃতা দিয়ে আয় করেন প্রায় ২২ মিলিয়ন পাউন্ড।
- সূত্র: মেট্রো ইউকে