জুলাই ঘোষণাপত্র বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির প্রতিনিধি
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপির একজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে অংশ নেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শাইরুল কবির খান।
আজ বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তার আগে আজ সকালে বৈঠকে বিএনপির যোগদান নিয়ে অনিশ্চয়তার খবর আসে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বরাত দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি বৈঠকে অংশ নেবে না।
টুকুর বরাতে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে বিএনপি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের আয়োজনের তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় এই বৈঠকটি আয়োজন করবে।
আর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠক আয়োজনের বিষয়টি জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, "আমরা বিএনপি, জামায়াত, গণসংহতি আন্দোলন-সহ জুলাই আন্দোলনের সাথে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা অধিকাংশ পয়েন্টেই একমত। কিছু বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। আমাদের বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে ঘোষণার তারিখ এবং ঘোষণাপত্রে কী কী থাকবে সেটি জানানো হবে।"
তিনি বলেন, "সরকার ঘোষণাপত্র দেবে না, জুলাই আন্দোলনে ছাত্ররা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলনের ফলাফল নিয়ে এসেছে, জুলাই ঘোষণাপত্রও ছাত্ররা ঘোষণা করবে, এবং আমরা সবাই সাথে থাকব।"
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। কিন্তু এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় ও বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনাও হয়।
রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে ঘোষণাপত্রের উদ্দেশ্য নিয়ে। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং জানায়, সরকার এ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এবং সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে ঘোষণাপত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।