বর্ষার আগে ঢাকার ১৯ খাল পুনরুদ্ধারে সরকারের উদ্যোগ
আগামী বর্ষার আগে রাজধানীর ১৯টি খালে পানির প্রবাহ পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে আজ রোববার মিরপুর-১৩ এলাকায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ৬টি খালের সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা ৩-৪টি মন্ত্রণালয় বসে কীভাবে বর্ষার আগে খালগুলোতে প্রবাহ ফেরাতে পারি সেই বিষয়ে কাজ করছি। প্রথমে খনন করব, এরপর ধাপে ধাপে বাকি কাজ এগোবো।
তিনি বলেন, আমরা চাই খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। এই খালে মশা ব্যতীত কিছুই নেই। আমরা স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি করে দিব। তারাই খাল দখল, দূষণ রোধে কাজ করবে। খালের পাড়ে সবুজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব, একই সাথে খালে মাছ যাতে বাঁচে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা আশাকরি এই বর্ষার আগে ১৯টি খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারব। আমরা এই ১৯টি খাল নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করার পরিকল্পনা করছি।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খালের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের, যার সমাধান মুহূর্তেই করা সম্ভব না। আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি তার মধ্যে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরি অন্যতম। আমরা ১৯টি খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ব্লু নেটওয়ার্ক চ্যানেল তৈরি করে পার্কের মতো করা। যাতে খাল দূরে সরে না যায়, কাছে আসতে বাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, অন্য যেকোনো সরকার থাকলে এই কাজ করতে চিঠি চালাচালি করতে করতে সময় চলে যেত। আমরা তাই কোনো প্রকল্পে না গিয়ে কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা কাজটি শুরু করে দিয়ে যেতে চাই, দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম ও প্রকল্প হাতে নিলে পরবর্তী সরকার এসে নেবে।
আদিলুর রহমান খান বলেন, গত সাড়ে ১৬ বছরে লুটপাট ও দুর্নীতির ফলে খালগুলো দখল ও দূষণের শিকার হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজউক টোটাইল বিল দখলমুক্ত করেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও কাজ চলছে।
প্রথম ধাপে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাউনিয়া, রূপনগর, বেগুনবাড়ি, মান্ডা, কালুনগর খাল এবং কড়াইল লেকসহ ২১ কিলোমিটার জলাশয়ের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।