ট্রাম্প ও মাস্কের সিদ্ধান্তের কারণেই সংকটে ইউএসআইডি
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/04/ezgif.com-webp-to-jpg-converter_2.jpg)
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে। সোমবার সংস্থাটির ওয়াশিংটন সদর দপ্তরে কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। খবর বিবিসির।
মার্কো রুবিও নিজেকে ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত প্রধান ঘোষণা করে জানিয়েছেন, সংস্থার কার্যক্রম চালু থাকবে, তবে তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। তবে ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা এই পদক্ষেপকে 'অবৈধ ও অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছেন যে, এর ফলে আন্তর্জাতিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রভাব কমে যাবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ক ইউএসএআইডির সমালোচনায় সরব। ট্রাম্প সংস্থাটিকে 'র্যাডিকাল বামদের পরিচালিত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান' বলে দাবি করেছেন, যদিও তিনি কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি।
মাস্ক, যিনি ট্রাম্পের 'ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি' নামক ব্যয় সংকোচন টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ইউএসএআইডি বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সোচ্চার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি সংস্থাটিকে 'অপরাধমূলক সংগঠন' ও 'বামপন্থী ষড়যন্ত্রের অংশ' বলে মন্তব্য করেছেন।
ইউএসএআইডির ওয়েবসাইট হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যেমন আন্তর্জাতিক দুর্ভিক্ষ পর্যবেক্ষণ ও সহায়তার তথ্যভাণ্ডার, অনলাইনে আর পাওয়া যাচ্ছে না। সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা জন ভোরহিস ও ব্রায়ান ম্যাকগিল-কে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং চিফ অব স্টাফ ম্যাট হপসন পদত্যাগ করেছেন।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জানান, 'মাস্ক স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন এবং তিনি প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।' তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্কের সরকারি ভূমিকার স্বচ্ছতা নিয়ে আইনি প্রশ্ন তৈরি হতে পারে।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন বলেছেন, 'এটি কেবল আমাদের প্রতিপক্ষদের জন্য সুবিধাজনক নয়, বরং স্পষ্টভাবে অবৈধ পদক্ষেপ।'
মারিল্যান্ডের কংগ্রেসম্যান জনি অলসজেওস্কি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, সিরিয়ার এক কারাগারের গার্ডরা, যারা ইসলামিক স্টেট বন্দিদের পাহারা দেয়, মার্কিন সহায়তা স্থগিত হওয়ার কারণে কাজ ছেড়ে দিতে বসেছিলেন।
সিনেটর ক্রিস মারফি অভিযোগ করেন, 'মাস্কের চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে এবং চীন এই সিদ্ধান্তে উল্লাস করছে'।
এই একীভূতকরণের বাস্তবায়ন কবে এবং কীভাবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, যা আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশটির কূটনৈতিক ও মানবিক ভূমিকার ওপর প্রভাব ফেলবে।