অলিগার্কদের সম্পদে আঘাত না হেনে কেবল আইন পাস করে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়: সোয়াস অধ্যাপক মুশতাক
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস)-এর অর্থনীতির অধ্যাপক মুশতাক হুসাইন খান বলেছেন, নির্বাচনের আগে দুর্নীতিবাজ অলিগার্কদের ক্ষমতার পরিবর্তন না করা গেলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। এজন্য এখনই তাদের সম্পদ পুনরুদ্ধার ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে 'নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অর্থনৈতিক কর্মসূচি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনায় মুশতাক হুসাইন খান বলেন, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ক্ষমতার বিকাশের পাশাপাশি নতুন নীতি নির্ধারণ জরুরি।
তিনি বলেন, 'এখনো অলিগার্কদের হাতে বিপুল অর্থ রয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে রাজনীতিবিদরা তাদের নিয়ন্ত্রণেই নীতিনির্ধারণ করবেন। অলিগার্কদের সম্পদে আঘাত না হানলে কেবল আইন পাস করে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।'
নাগরিক কমিটির 'রাজনৈতিক বক্তৃতামালা সিরিজ'-এর চতুর্থ পর্বের আলোচনায় তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে নতুন পথে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, 'নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানে ক্ষমতার সঙ্গে আইনের পরিবর্তন। ক্ষমতা বদলালেও আইনের পরিবর্তন না হলে নতুন বন্দোবস্ত সম্ভব নয়।'
তিনি আরও বলেন, শুধু নীতিমালা বা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলা যাবে না। ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস আইনি কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে উল্টো ফল হতে পারে।
এজন্য নতুন উদ্যোক্তাদের উৎপাদনশীল সাংগঠনিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। উঠতি নিম্নমধ্যবিত্তদের উদ্যোক্তা বানিয়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, নতুন অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি না হলে বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামো থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জনগণকে অর্থনৈতিক পরাধীনতা থেকে মুক্তি দেবে।