গাজা দখলের ‘সব বিকল্প বিবেচনা করবে’ যুক্তরাষ্ট্র, ‘জাতিগত নিধনের’ বিষয়ে সতর্ক করল জাতিসংঘ
যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখলের জন্য 'সব বিকল্প বিবেচনা করবে' বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। অন্যদিকে জাতিসংঘ 'জাতিগত নিধন' সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা দখল করে সেখানকার দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র 'সব বিকল্প বিবেচনা করতে প্রস্তুত' বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
হোয়াইট হাউস ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নাকচ না করায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, 'যেকোনো ধরনের জাতিগত নিধন এড়ানো অত্যন্ত জরুরি'।
জাতিসংঘের একটি কমিটির বৈঠকে গুতেরেস বলেন, 'সমাধানের আশায় সমস্যাটিকে আরও বড় করে তোলা যাবে না। …যেকোনো ধরনের জাতিগত নিধন এড়ানো অত্যন্ত জরুরি।'
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের 'উদার প্রস্তাব'কে 'বৈরী পদক্ষেপ' হিসেবে দেখা উচিত নয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফিলিস্তিনিরা পুনর্বাসিত হবে না। আর গাজার বাসিন্দারা বিবিসিকে বলেছেন, 'এটা আমাদের ভূমি'।
কিছু প্রধান মার্কিন মিত্রও এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাজ্য বলেছে, ফিলিস্তিনিদের 'তাদের নিজ ভূমিতে বাস করা উচিত'। মিসর বলেছে, গাজা পুনর্গঠিত হওয়া উচিত তার জনগণকে সরিয়ে না নিয়ে। আর সৌদি আরব 'ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো প্রচেষ্টা' প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং জায়গাটিকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করবে। তবে এর আগে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করতে হবে।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই পরিকল্পনার কথা জানান।
এর আগে মঙ্গলবারই ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পুনর্বাসন করা উচিত। তিনি গাজাকে 'ধ্বংসস্তূপ' হিসেবে উল্লেখ করেন। বর্তমানে সেখানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর করা রয়েছে।