রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শিগগিরই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা নিয়ে আশাবাদী ঢাকা
মিয়ানমারে নতুন সরকার গঠনের পর ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরুর ব্যাপারে সোমবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শিগগিরই শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি সংবাদিকদের বলেন, 'আমরা ইতিবাচক থাকতে চাই।'
আর দেরি না করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন সম্ভবত বেইজিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি ত্রিপক্ষীয় আলোচনা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
এমন ত্রিপক্ষীয় আলোচনা প্রথম হয়েছিল নিউইয়র্কে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার নানা সময়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু গত তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাও রাখাইনে ফিরে যায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের মাঝে অবিশ্বাস রয়েছে যা মিয়ানমারকে দূর করতে হবে।
মিয়ানমার জানিয়েছে, তাদের পক্ষে কী কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে তারা একটি বুকলেট প্রকাশ করেছে এবং রাখাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে এ বুকলেট রোহিঙ্গাদের দেয়া হবে।
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে বলে সম্প্রতি তারা চীনকে আশ্বস্ত করেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি টেলিফোনে ড. মোমেনের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াং ই বলেন, চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সোমবার দাবি করেছে যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আসন জিতেছে।
ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন এখনও রবিবারের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ সম্পন্ন না করলেও দলটি এ দাবি করেছে।
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির তথ্য কমিটির মুখপাত্র মনয়ওয়া অং শিন বলেন, 'আমি এখন নিশ্চিত করতে পারি যে আমরা ৩২২টির বেশি আসন পেয়েছি।'
মিয়ানমারের পার্লামেন্টে আসন রয়েছে ৬৪২টি।
ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারের নতুন সরকারকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। যদিও সেখানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।