ট্রাম্পের কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ অনুমোদন পেল
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) পরীক্ষামূলক একটি অ্যান্টিবডি ভিত্তিক ওষুধের জরুরি প্রয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের এক ঘোষণায় আজ রোববার (২২ নভেম্বর) একথা জানানো হয়।
ইতোপূর্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও রিজানেরন কোম্পানির তৈরি ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল।
কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত যেসব ব্যক্তি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছেন- তারা এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রমাণিত হয়েছে; কারো দেহে সংক্রমণের সঙ্গেসঙ্গেই তাকে এটি দেওয়া হলে- তা কার্যকরভাবে জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারে। ট্রাম্পকেও এটি তাৎক্ষনিকভাবে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারির করাল থাবায় যখন প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক নাগরিক আক্রান্ত হচ্ছেন, ঠিক তখনই এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
তবে ওষুধটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং ফলপ্রসূ কিনা- সে গবেষণা এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই জরুরি বিবেচনায় এটি অনুমোদন পেয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আরেকটি মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা- এলি লিলির একই রকম একটি ওষুধকে জরুরি প্রয়োগের সবুজ সংকেত দেয় এফডিএ।
রিজেনরনের ওষুধ প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়েছে পরীক্ষাগারে তৈরি দুই ধরনের মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এগুলো খুবই শক্তিশালী এবং দেহে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অনুকরণে তৈরি। কৃত্রিম অ্যান্টিবডিগুলো করোনাভাইরাসকে শনাক্ত করে তার গায়ে একটি আবরণ তৈরি করে। ফলে জীবাণু দেহে অনুপ্রবেশের সুযোগ পায় না।
চলতি মাসের শেষ নাগাদ তারা ওষুধটির ৮০ হাজার ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে, বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে। জানুয়ারি নাগাদ উৎপাদন উন্নীত হবে ৩ লাখে। যাদের প্রয়োজন এমন রোগীদের ওষুধটি বিনামূল্যেই দেবে মার্কিন সরকার। তবে এটি নেওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বিল পরিশোধ করতে হবে।
পরীক্ষাধীন থাকায় যারা বেশি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বা অক্সিজেন নিতে বাধ্য হচ্ছেন- তাদেরকে এটি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছে এফডিএ।
- সূত্র: বিবিসি