‘এই সিদ্ধান্তকে আমি পেশাদারীভাবে নিচ্ছি’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডের জন্য ২৪ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ইনজুরির কারণে অনেক সিরিজে দলের বাইরে থাকলেও এবারই প্রথম পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়লেন তিনি।
বাদ পড়লেও কোনো অভিযোগ নেই গত মার্চে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়া মাশরাফির। দলের মঙ্গলে টিম ম্যানেজমেন্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটার প্রতি সম্মান আছে বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। আগের মতো মাশরাফি আবারও জানিয়েছেন, জাতীয় দলে জায়গা না হলেও আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মাশরাফি বলেন, 'জায়গাটা পেশাদার। টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি এই সিদ্ধান্তকে পেশাদারীভাবে নিচ্ছি। আমার মনে হয় এখানে আর কিছু বলার নেই। আমি আগেও বলেছিলাম, জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও খেলা চালিয়ে যাব। আজও একই কথা বলছি। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবছি না।'
দল থেকে বাদ পড়ে কষ্ট পেলেও বরাবরের মতো সেটা বুঝতে দিচ্ছেন না মাশরাফি। নিজের জগতে নিজের মতো করেই আছেন তিনি। মিরপুর স্টেডিয়ামে যখন মাশরাফিকে বাদ দেওয়ার কারণ জানাচ্ছেন নির্বাচকরা, মাশরাফি তখন মিষ্টি খাচ্ছিলেন।
ফোন করতেই স্বভাবসুলভ দুষ্টুমির ছলে মাশরাফি বলে উঠলেন, 'মিষ্টি খেয়ে বাদ পড়া উদযাপন করছি।' একটু পরই অবশ্য মিষ্টি খাওয়ার আসল কারণ জানিয়েছেন তিনি। মিশর থেকে মিষ্টি এনেছেন জাতীয় দলের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। অনুজের পাঠানো সেই মিষ্টিই তখন খাচ্ছিলেন মাশরাফি।
২০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক বাধাই টপকেছেন মাশরাফি। দীর্ঘ এই সময়ে ইনজুরির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লড়তে হয়েছে তাকে। দুই হাঁটুতে সাতটি অস্ত্রোপচারের পরও দমে যাননি বাংলাদেশের ওয়ানডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
ইনজুরি জয় করে বারবার ২২ গজে ফিরে এসেছেন মাশরাফি। প্রতিবারই তার ওপর ভরসা রেখেছে বাংলাদেশ, তিনিও দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। কিন্তু ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া মাশরাফির ওপর এবার আর ভরসা করেনি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তরুণদের সুযোগ তাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।