আবরার হত্যার আসামিরা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত ১৯ আসামীর সবাই এখন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত ১৯ আসামীর সবাইকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ সোমবার (২১ অক্টোবর) অমিত সাহাসহ তিনজনকে ঢাকার ওই কারাগার থেকে এ কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ (সিই বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান রবিন (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মো. অনিক সরকার, (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মো. মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মো. মাজেদুল ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোজাহিদুল রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খোন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৭তম ব্যাচ), মো. শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. তানীম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোয়াজ (সিএসই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) ও মুনতাসির আল জেমিসহ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)। এরা সবাই বুয়েট’র একই ছাত্রবাসের ছাত্র।
এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের সনাক্ত ও অমিত সাহা ১৯ জনকে সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্নস্থান থেকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে তাদের সবাইকে ওই কারাগার থেকে সোমবার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন এ কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরার হত্যার ঘটনায় জড়িত ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) ৬ অক্টোবর রাতে শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ। মামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৩ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।