ভাষার মাসকে সম্মান জানাতে হাইকোর্টে মামলার রায় হলো বাংলায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ জঙ্গির মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রেখে আজ হাইকোর্টের রায়টি বাংলায় ঘোষণা করা হয়।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বাসস'কে বলেন, আজ হাইকোর্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়টি সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করেছেন আদালত। যেহেতু আমাদের গৌরবের ভাষার আন্দোলনের মাস চলছে। তাই ভাষার মাসের প্রতি সম্মান জানাতে আদালত এ মামলার রায় বাংলাতে ঘোষণা করেছেন।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১০ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড দিয়ে
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
এ মামলার বিচারিক আদালতের রায়সহ সকল নথি ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান বিচারপতির কাছে নথি উপস্থাপন করা হলে তিনি জরুরি ভিত্তিতে এ মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন। পেপারবুক তৈরি হলে হাইকোর্টে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি হয়। ১ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল।
মামলায় আনা অভিযোগ বিষয়ে জঙ্গি মুফতি হান্নানের আদালতে দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী, ২০০০ সালের জুলাই মাসে জঙ্গি সংগঠন হুজির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শেখ হাসিনাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। ওই বছরের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশস্থল ও হেলিপ্যাডের কাছে দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য সমাবেশের আগে পুঁতে রাখা বোমা পুলিশ উদ্ধার করে। ফলে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র নস্যাত হয়।