হাকালুকি হাওরে পাখি শিকারিদের বিষটোপে ২৫০ হাঁসের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পাখি শিকারিদের দেওয়া বিষটোপ খেয়ে এক খামারির ২৫০ হাঁস মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরের পোয়ালা বিলে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় খামার মালিক আলী হোসেন শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গগড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গগড়া গ্রামের আলী হোসেন ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। খামারে তার ৪৫০টি হাঁস আছে। হাওরে তিনি ঘর তৈরি করে সেগুলো পালন করেন। প্রায় সময় বিবাদীরা হাকালুকি হাওরে আসা অতিথি পাখি শিকার করে থাকে। হাঁস খামার মালিক আলী হোসেন বিভিন্ন সময় বিবাদিদের পাখি শিকার করতে নিষেধ করেন। বিবাদিরা তার নিষেধ না মানায় তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। এতে বিবাদিদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে বিবাদিরা শুক্রবার সকালে হাকালুকি হাওরের পোয়ালা বিলে আলী হোসেনের খামারের সামনে ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাখেন। সকালে হাঁসগুলো খাবারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এ সময় বিষ মেশানো ধান খেয়ে ঘটনাস্থলে ২৫০ হাঁস মারা যায় বলে অভিযোগ।
খামার মালিক আলী হোসেন বলেন, 'আমি গরিব মানুষ। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে হাঁসের খামার তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পাখি শিকারিরা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ধানের সঙ্গে শিকারিদের দেওয়া বিষ খেয়ে আমার প্রায় ২৫০ হাঁস মারা গেছে। বাকি হাঁসগুলোর অবস্থাও খারাপ। যেকোনো সময় মারা যেতে পারে।'
'আমি তাদের প্রায় সময় পাখি শিকার না করার জন্য নিষেধ করতাম। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার এতগুলো হাঁস বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই,' বলেন তিনি।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, 'বিষটোপ খেয়ে এক খামার মালিকের হাঁস মারা গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'